|
NFTs |
▪️ NFT ?
NFT(Non-Fungible Token) একটি ডিজিটাল সম্পদ, যা উৎস আপনি নিজেই হতে পারেন। যেমন Twitter এর “Co-founder Jack Dorsey” Twitter এর পাখির লোগোটি কে NFT বানিয়ে $2.9 Million এ বিক্রি করে দেয়। এছাড়া একজন ইন্দোনেশিয়ার ইন্টুডেন্ট (Student) নিজের ১০০০ সেলফির NFT বানিয়ে $1Million টাকা ইনকাম করেন। আপনি জানলে হতবাগ হয়ে যাবেন, যে ভারতীয় অভিনেত্রী অমিতাভ বচ্চনের NFT 7 Crore টাকায় বিক্রি হয়। তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন, আজকের দিনে NFT Price কতটা। আজকের আলোচনাতে NFT এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, আপনিও যদি নিজের NFT বানি য়ে বেচতে চান, তাহলে সঙ্গে থাকুন।
▪️ What is NFT ? (NFT কি ?)
NFT হলো একটি ডিজিটাল সম্পদ, যার পুরো নাম Non-Fungible Token. এখানে যদি Non-Fungible Token সঠিক ব্যাক্ষা দিতে যায়, তাহলে এখানে Fungible এর মানে হল বস্ত বা ধারনা যা যেকারো হতে পারে। এবং অনেকাংশেই দেখা গেছে একজন মানুষের সাথে অন্য মানুষের ধারণা মিল খেতে। সেই কারনেই Non শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে আপনার বস্ত বা ধারনা আর কেউ ধাবতে না পারে। আর Token শব্দের অর্থ আমরা সবাই জানি। যা একটা বস্ত বা জিনিসের মালিকানা বোঝাতে সাহায্য করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা কাজে বা কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে বাইক, সাইকেল বা গাড়ি কোনো নির্দিষ্ট পার্কিং এ রাখি এবং সেখানে দুটো টোকন(Token) দেওয়া হয়। একটা আপনার সাইকেল বা মোটরসাইকেল লাগানো থাকে, আর অপরটি আপনার কাছে থাকবে। আপনি যখন ফেরত আসবেন তখন এই Token দেখাতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে যে এই নির্দিষ্ট জিনিসটার আপনিই মালিক। এখানেও এই Token শব্দের একই অর্থ। আমরা যখন গোগল বা অন্য কোনো জায়গায় থেকে কোনো ছবি ডাউনলোড করি সেটা কার তৈরি তা আমরা জানতে পারি না। কিন্তু, NFT তে এটা সম্ভব নয়। এখানে আপনি নিজের তৈরি ছবি বা আর্টকে একবার NFT তে কনভার্ট করলে সেটা পৃথিবীর যে কেউ ডাউনলোড় করুক না কেন, আসল ক্যাড়িট আপনি পাবেন। আর এই NFT একটি Blockchain প্রক্সিয়া। যা স্টেপ বাই স্টেপ চলতে থাকে।
▪️ Why People Buying NFTs ? (মানুষ কেন NFTs Arts কেনে ?)
মানুষ কেন NFTs Arts কেনে বা Why People Buying NFTs এটা আসলে একটা শখ। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সখের জন্য এই NFTs কেনে। কিন্তু, বর্তমান সময়ে এটা একটা ব্যবসাতে পরিনোত হয়েছে। এটা কেনার আরো একটি কারন হলো NFT তে এমন কিছু জিনিস বা বস্ত বেচাকেনা হয়, যা খুবই দূর্লভ। এমনকি কোনো একটি বস্ত বা জিনিসের একবার NFT তৈরি হলে, সেটাকে কেউ কপি করতে পারবেন, বা এর ডুব্লিকেট করতে পারবে না। এই কারনেই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিরা নিজেদের সখের জন্য বা মানব সমাজে নিজেদের সন্মান বৃদ্ধি করতে NFTs কেনে।
▪️ History of NFT ? (NFT এর ইতিহাস ?)
NFT এর ইতিহাস শুরু হয় ২০১৭ সালে। দুই জন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার একটি ডাটাবেজ ব্লোকচেন এর সাহায্যে নিলামে নিয়ে আসে। যা একটি অনলাইন প্রক্সিয়া ছিল। দুই জন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তাদের এই ডাটাবেজ টি খুবই ভালো দামে বিক্রি করে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, যে এই ডাটাবেজটি পৃথিবীর আর কারো কাছে নেই। আর এটা বিক্রি করা হয়, ব্লোকচেন প্রক্সিয়ার মাধ্যমে। এখানে আপনি কোনো জিনিস কিনলে তা ব্লোকচেন প্রক্সিয়ার মাধ্যমে হয়। যেমন- সাধারণ একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝায়, ধরুন আপনার একটা কোম্পানি আছে, এখানে আপনি মোবাইল তৈরি করেন। এখন আপনার তৈরি মোবাইল গুড়াউনে আসে আর এখান থেকে সেটা বাজারে। এটা একটা ব্লোকচেন প্রক্সিয়া। কিন্তু, আপনার কোম্পানি যে মোবাইল তৈরি করছে, কালকে সেটা কপি করে অন্য কোনো কোম্পানি এই মোবাইল বাজারে আনতে পারে। কিন্তু এর আসল মালিক কে এটা জানা সম্ভব নয়। এখান থেকে জন্মনেয় NFT(Non-Fungible Token) আপনি যদি NFT মাধ্যমে বেচাকেনা করেন, তাহলে পৃথিবীর যে কেউ যদি প্রোড়াক্ট কপি করে তাহলে আপনি তার কাছে মালিকানা দাবি করতে পারবেন। NFT এর শুরু ২০১৭ সালে হলেও এটি ২০২১ সালে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এর মূল কারণ হল- টুইটারে সিইও জ্যাক ডরসি প্রথমবার টুইটারে পাখির লোগোটির এনফটি বানিয়ে ২.৫ মিলিয়ন ডলার এ বিক্রি করে। কারন গোটা বিশ্ব জুড়ে টুইটারে পাখির লোগো একটাই।
এরপর থেকে অনেক এনফটি কেনাবেচা হয়। এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা বিপুল পরিমানের হতে পারে।
▪️ NFT Feature ?
NFT ভবিষ্যত নতুন এক ধরনের ইতিহাস তৈরি করবে। আমরা প্রথমের দিকে জেনেছি এনএফটির কাজ সম্পর্কে, তাই এখানে বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন নেই।
আপনি যদি একজন ইউটিউবার বা ব্লোগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি জানেন যে কারো ফটো বা ভিডিও যদি নিজের কাজের জন্য ব্যবহার করি তাহলে আমাদের Copyright Strike আসে। যার বিনিময়ে আপনাকে কিছু টাকা ফটো বা ভিডিও এর মালিক কে দিতে হয়। এই সম্পূর্ণ প্রক্সিয়াটি ডিজিটাল উপায়ে হয়। ঠিক একই কারনে NFT খুবই জনপ্রিয় হতে পারে। আর একবার NFTতে কিছু যুক্ত করলে পৃথিবীর যে কেউ এই ফটো ভিডিও বা বস্তকে ব্যবহার করুক না কেন। এর আসল মালিক আপনি থাকবেন। আর সে যদি এটা কাছ থেকে কিনে নেয়, তখন সে তার মালিক হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
▪️ NFT Price In India
বর্তমানে NFTs এর দাম আপনি ভাবতেও পারবেন না। NFT শুরু ২০১৭ সালে কিন্তু, ২০২১ সালে এর বিস্তার দেখা যায়। ২০২১ সালে Twitter এর CEO Jack Dorsey টুইটার এর পাখির লোগোটির NFT বানিয়ে ২.৫ মিলিয়ন ডলার এ বিক্রি করে। এর পর ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রী অমিতাভ বচ্চনের NFT ৭ Crore টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া, আরো অনেক এনএফটি বিক্রি হচ্ছে। যার মূল্য ধারনার বাইরে। ধারনা করা হয়েছে যে 2022 এর শেষ পর্যন্ত এর দাম 10 বিলিয়ন ডলারের উপরে যেতে পারে।
তাহলে আপনিও একটা এনএফটি বানিয়ে সেল করার জন্য পাঠিয়ে দিন।
▪️ How to Create NFTs ? (এনএফটি কিভাবে তৈরি করবেন ?)
NFT বা Non-Fungible Token বর্তমানে খুবই বিস্তার লাভ করেছে। ২০২১ সালে একটি Digital Arts এর NFTs ৬৯ মিলিয়ন ডলার এর বিক্রি হয়েছিল। এছাড়াও, আরো অনেক NFTs মাল্টি-মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করা হয়েছে। এই সব কারনে মানুষ Digital Arts বা NFT উপর খুবই আগ্ৰহ দিচ্ছে। আপনিও যদি এনএফটি তৈরি করতে চান, তাহলে নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
1. Pick Your Item
সর্বপ্রথমে আপনাকে Item Select করতে হবে। সেটা আপনার তৈরি ছবি, আপনার ফটো, ভিডিও, সম্পতি, গাড়ি, ভাইরাল মিম, ভাইরাল পোস্ট, বা যে কোনো জিনিস হতে পারে। কিন্তু, এখানে একটা বিষয় জানতে হবে। আপনি যে জিনিসটার এনএফটি তৈরি করতে চাচ্ছেন, সেটা আদেও কি আপনার না অন্যের তা নিশ্চিত করতে হবে।
2. Choose Your Blockchain
আপনি নিজের Item বাছাই করার পর, এখন আপনাকে Blockchain বাছাই করতে হবে। এখানে Blockchain মানে হল মাধ্যম। আপনি যখন এনএফটিতে কিছু যুক্ত করেন বেচার জন্য সেই Item টিকে Blockchain বলে। এখানে NFTs কেনাবেচার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল Ethereum(Crypto ETH). এছাড়া, রয়েছে- Tezos, Polkadot, Cosmos, and Binance Smart Chain.
3. আপনার ডিজিটাল ওয়ালেট সেটআপ করুন.
আপনি যদি এর আগে কখন Digital Wallet না তৈরি করে থাকেন, তাহলে আপনাকে প্রথমে Digital Wallet Setup করতে হবে। এবং প্রথম অবস্থায় আপনাকে কিছু Cryptocurrency Buy করতে হবে। কারন NFT তৈরি এবং বিক্রি করার জন্য আপনার Digital Wallet এ Cryptocurrency থাকতে হবে। আপনি যদি Digital Wallet Setup কিভাবে করতে হয় না জানেন তাহলে ইউটিউব এ ভিডিও দেখতে পারেন।
4. Select Your NFT Market.
আপনি Item Select, Blockchain, Digital Wallet তৈরি করেছেন, এরপর আপনাকে NFT Market দেখতে হবে। আপনি যে NFT তৈরি করেছেন সেটা বিক্রি করার জন্য আপনাকে উপযুক্ত বাজার নির্বাচন করতে হবে। যেমন Best NFT Market এর শীর্ষস্থানে রয়েছে, OpenSea, Axie Marketplace, Larva Labs/CryptoPunks, NBA Top Shot Marketplace, Rarible, SuperRare, Foundation, Nifty Gateway, Mintable, and ThetaDrop.
কিন্তু, এই NFT Market নিয়ে আপনাকে গবেষণা করতে হবে। কারন এখানে এক একটা NFT Market একেক কাজের জন্য। এর জন্য আপনি Google or Youtube এর সাহায্য নিতে পারেন।
5. Upload Your NFT File.
আপনার সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে, এখন আপনাকে NFT File Upload করতে হবে। যা Pdf, jpg, jpeg, gif, MP3 বা অন্যান্য উপায়ে আপলোড করতে পারবেন।
6. Setup Your Selling Prosess.
NFT এর সব প্রক্সিয়া সম্পুর্ন হয়ে গেলে বিক্রি করার উপায় অনুসরণ করুন.
🔹 Sell it at a fixed price: আপনি আপনার NFT টি এর একটা নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করুন। এবং যে ব্যক্তি আপনার দাম পূরন করবে, তাকে মালিকানা প্রদান করুন।
🔹Set a timed Auction: আপনার NFT নিলিমা এর একটি সময় নির্ধারণ করতে হবে। এবং যারা এই NFT কিনতে চায়, তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে Bit জমা করতে হবে।
🔹 Start an unlimited Auction: একটি NFT নিলামের কোনো সময় সীমা নেই, আপনি যত বার ইচ্ছা এটা কেনাবেচা করতে পারবেন।
আপনি NFT সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গোগল বা ইউটিউব এর সাহায্য নিতে পারেন।
Post By– Santosh Barman (www.canbebangali.com)