আর নয় Google, ইন্টারনেট দুনিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যাপল আসছে।

Advertisement
Advertisement

Google: বছরের পর বছর ধরে গোগল সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে শীর্ষস্থানে রয়েছে, উয়াহু এবং বিং এর মতো‌ অনেক কোম্পানি গোগল কে তার শীর্ষ স্থান থেকে সরাবার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মনে হচ্ছে গোগলের শীর্ষ স্থানে থাকাটা আর বেশি দিনের নয়,

কারন গোগল কে শীর্ষ স্থান থেকে সরাতে বিশ্বের সবথেকে দামী ব্যান্ড অ্যাপল, অ্যাপল সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি গোগল । গোগল সার্চ ইঞ্জিন কে‌ চেলেন্জ করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যাপেল তার নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে। আপনার কি‌‌ মনে হয় সার্চ ইঞ্জিনের রাজা গোগল কে হারাতে পারবে অ্যাপেল ।

Advertisement

Also Read – Indian Super League 2022-23 | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ 2022-23 | East Bengal Vs Kerala Blasters

Tranding Topic 2022

আপনি হয়তো জানেন না অ্যাপেল ডিভাইস এ ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন থাকার কারণে গোগল কে প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে হয় অ্যাপেল কোম্পানি কে।

Advertisement
google

সার্চ ইঞ্জিন কি ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌এবং‌ কি ভাবে কাজ করে ?

সার্চ ইঞ্জিন: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনো কিছু জানার থাকলে বা দেখতে চাইলে আমরা গোগল এর মধ্যে সার্চ করি, এবং গোগল আমাদের সার্চ করা তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়। যেমন ধরুন আপনি একটি নতুন বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন, আর আপনার আসেপাশে এই বিজনেস সম্পর্কে কিছু তথ্য নেই এই সময় আপনি গোগলের সাহায্য নিতে পারেন, গোগল আপনাকে এই বিজনেস সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে দিবে। এটাই হল সার্চ ইঞ্জিন। 

Advertisement

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে: সার্চ ইঞ্জিনের কাজ বলতে হলে একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে হবে। যেমন ধরুন আপনার একটা দোকান আছে এবং দোকানে যত ধরনের মালপত্র, লেবার এবং লেনদেনের সব হিসেব একটা ডাইরিতে লিখে রাখেন। তার পর যখন খুশি  আপনি দোকানের ডায়রি খুলে দেখতে পারবেন। ঠিকই একি ভাবে কাজ করে সার্চ ইঞ্জিন। গোগল হল একটা অফুরন্ত স্টোর বা মেমোরি এর মধ্যে আমার যা কিছু সার্চ করি, গোগল সেটাকে নিজের কাছে জমা করে নেয়, এবং পরবর্তী সময়ে যদি কেউ দেখতে চাই তখন তাকে দেখিয়ে দেয়।

অ্যাপেল সার্চ ইঞ্জিন: অ্যাপেল ইতিমধ্যে সার্চ ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে ২০১৫ সালে অ্যাপেল অ্যাপেল বট নামে একটি web স্কলারের অস্তিত্ত্ব প্রকাশ করেছিল। অ্যাপেল বট অনলাইন প্লাটফর্মে একটি বিশাল ডাটাবেস তৈরি করে, যা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম । বিশেষগ্যদের মতে‌ বর্তমানে অ্যাপেল বটের গতিবিধি অনেক টাই এগিয়ে আছে।

আপেল ইকোসিস্টেম : ইয়াহু বা বিং এর চাইতে অ্যাপেল বর্তমানে খুবই সুবিধা জনক স্থানে রয়েছে। কারন তারা অ্যাপেল এবং আইওএস এর ডিফল্ট ব্রাউজার কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। এই কারনেই তারা তাদের কোটি কোটি ইউজারদের অনলাইন সার্চ ডাটা সংগ্রহ করতে পারছে। বর্তমান বিশ্বে ১ বিলিয়ন এরও বেশি অ্যাপেল ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে।

অ্যাপেল যদি সার্চ ইঞ্জিন বানাতে চায় তাহলে খুব একটা কঠিন হবে না। অ্যাপেল ইতিমধ্যে তার সার্চ টুল গুলো নিয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষা শুরু করে দিয়েছে যার প্রমাণ আমরা অ্যাপেলের আইএসও ১৪ এর মধ্যে দেখতে পেলাম, অ্যাপেল আইএসও ১৪ ব্যবহার কারি যখন কিছু সার্চ করবে দেখার জন্য তখন সে গোগলে না গিয়ে অ্যাপেল সার্চ ইঞ্জিনে চলে যাবে। তবে এটা অ্যাপেল সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করার প্রথম ধাপ এর আরও কাজ এখন বাকি আছে।

এছাড়াও অ্যাপেল সার্চ ইঞ্জিন তৈরির কাজের জন্য দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন এক্সপার্টদের কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। আপনিও‌ যদি সার্চ ইঞ্জিন এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে ট্রাই করতে পারেন।

Advertisement

Google কে হারানো কি সম্ভব ?

এখন‌ কথা হচ্ছে কিভাবে অফুরন্ত ডাটার রাজা গোগল কে হারাতে পারবে। আমরা যখন‌ গোগলে কিছু সার্চ করি তখন গোগল আমাদের সার্চ করা তথ্য তার নিজের কাছে জমা করে রাখে। যার ফলে গোগল কে ডাটা হাংড়ি ও‌ বলা হয়। অ্যাপেল গোসলের এই ডাটা হাংড়ি কাজ টাকে কাজে লাগিয়ে গোগলের চেও বড সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে সামনে আসতে পারে। কারন‌ গোগলের মতো অ্যাপেল সার্চ ইঞ্জিন কখনোই তার গ্ৰাহকদের ডাটা সংগ্রহ করবে না। যার ফলে সাইবার ক্রাইম হবেনা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক, মোবাইল হ্যাক,কোম্পিউটার হ্যাক আর হবে না। 

তবে প্রশ্ন একটাই আসলেই কি অ্যাপেল পারবে গোগলের মত নিখুদ‌ সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে, কমেন্ট করে জানাবেন। 

শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ 🙏 পোস্টটি ভালো লাগে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে..

Advertisement

Advertisement

Leave a Comment