Napel Plane Crash: ৭২ জন যাত্রী এবং ক্র নিয়ে নেপালের পোখারা বিমানবন্দরে আগে দূর্ঘটনায় মৃত্যু ৫৩ জনের, এই যাত্রীবাহী বিমানের মধ্যে মোট ৭২ জন যাত্রী এবং ক্র ছিলেন। এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিদ্ধস্থ বিমানের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, এখানে একজনো জীবিত নেই।
দূর্ঘটনাগ্ৰস্থ এই বিমানটি ইয়েতি ইয়ারলাইন্সের বিমান, এটি বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারা বিমানবন্দরে যাওয়ার সময়, হঠাৎ বিমানের আগুন লেগে যায়। যার পরের পরিস্থিতি আপনাদের অজানা নেই।
Highlights Points 👇
ART 72 মড়েলের দুই ইঞ্জিনের এই বিমানটিতে ছিলেন, মোট ৬৮ জন যাত্রী। যার মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশি এবং ৫ জন ভারতীয় এছাড়াও বিমান পাইলট এবং ক্র ছিলেন।
বিমান দূর্ঘটনা হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই নেপাল সেনাবাহিনী উদ্বার কাজে লেগে যায়। প্রথম অবস্থায় একসঙ্গে ৪০টি মৃত্যুদেহ উদ্বার করা হয়। তার আরো তদন্ত চালিয়ে পরে আরো ১৩টি মৃত্যুদেহ উদ্বার করা হয়। এখনো পর্যন্ত নেপাল সেনাবাহিনী উদ্বার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই Napel Plane Crash সম্পর্কে আরো জানতে আমার টেলিগ্ৰাম গ্ৰুপ জয়েন করুন।
নেপাল সেনাবাহিনী একজন মূখ্য সেনা রয়টার্স জানিয়েছেন, যে আরো মৃত্যুদেহ পাওয়া আশাঙ্কা রয়েছে ।
Napel Plane Crash: এ যাত্রীবাহী বিমানের কাঠমান্ডু থেকে পোখারা বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন, মোট ৬৮ জন যাত্রী। যার মধ্যে ৫৩ জন নেপালের স্থায়ীবাসিন্দা ছিলেন। এখানে যে বিদেশি নাগরিক গুলো ছিল, তাদের মধ্যে চারজন রাশিয়ান এবং দুইজন কোরিয়ার নাগরিক ছিলেন। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন বিমানটিতে।
১৯৯২ সালের নেপালের ভয়াবহ বিমান দূর্ঘটনার পর ২০২৩ সালের এই বিমান দূর্ঘটনাটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক এর তথ্য অনুসারে, পাকিস্থানের A300 বিমান কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় পাহাড়ে না ধাক্কা খেয়ে ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনা হয়েছিল।
Napel Plane Crash(নেপাল বিমান দূর্ঘটনা)

Napel Plane Crash(নেপাল বিমান দূর্ঘটনা) নেপালে বিমান দূর্ঘটনার ব্যাপারটা মোটেও বিরল নয়। আমরা যদি গত একদশকের নেপাল বিমান দূর্ঘটনা কথা বলি তাহলে, গত একদশকে ১৬৬ জন যাত্রী এবং ক্র এর মৃত্যু হয়, এই নেপাল বিমান দূর্ঘটনাই ।
আপনাদের হয়তো অবশ্যই মনে আছে, ২০১৮ সালে ১২ই মার্চ বাংলাদেশ এর ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান নেপালের কাঠমান্ডুতে অবসরণ করার সময় ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনা হয়। এই দূর্ঘটনাই ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এই বিমানে মোট যাত্রী ছিলেন ৫১ জন পাইলট এবং ক্র মিলিয়ে।
Napel Plane Crash(নেপাল বিমান দূর্ঘটনার সবচেয়ে বড়ো কারণ হচ্ছে, এখানকার পর্বত। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ১৪টি পর্বতের মধ্যে ৮টিই আছে নেপালে। যার মধ্যে হিমালয় ও আছে। নেপাল বিমান দূর্ঘটনার আরো একটি কারণ হচ্ছে, এখানকার পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং পাহাড়ের মাঝে কঠিন এয়ারস্ট্রিপ।
১৯৯২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত নেপালে হওয়া কিছু ভয়ঙ্কর বিমান দূর্ঘটনা | Napel Plane Crash(নেপাল বিমান দূর্ঘটনা)
- জানুয়ারি ২০২৩: কাঠমান্ডু থেকে পোখারা বিমানবন্দরে যাওয়ার সময়, পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানের আগুন লেগে যায়। যার ফলে ৫৩ জনের মৃত্যু হয় এবং এখন তদন্ত চলছে।
- মে ২০২২: পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে যাওয়া, টুইনঅটার বিমান দূর্ঘটনার মৃত্যু ২০ জনের।
- এপ্রিল ২০১৯: লুকরা বিমানবন্দরে রান ওতে দুটি হিলিকাপ্টারের সাথে সংঘর্ষে সামিট এয়ারের একটি বিমান দূর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু।
- ফেব্রুয়ারি ২০১৯: এয়ার ডাইনাস্টির একটি হিলিকাপ্টার দূর্ঘটনায় মৃত্যু ৭ জনের।
- সেপ্টেম্বর ২০১৮: গোর্খা থেকে কাঠমুন্ডুর উদ্দেশ্য আসা, এয়ার অলটিচ্যুডের একটি হিলিকাপ্টার দূর্ঘটনায় মৃত্যু ৬ জনের।
- ফেব্রুয়ারি ২০১৬: পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে যাওয়া, তারা এয়ারের বিমান দূর্ঘটনায় মৃত্যু ২৩ জনের।