স্বরস্বতী পূজা ২০২৩: এই পূজা হিন্দুদের পূজা, বিদ্যা এবং সঙ্গীতের আরাধনাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত করা হয়।
স্বরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে আয়োজিত হয়। এই তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত।
এটি মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের গৃহ ও সার্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়।
এই স্বরস্বতী পূজা উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, নেপাল, বাংলাদেশে এবং আরো অনেক জায়গায় আয়োজিত হয়।
এই পূজায় বিশেষ কয়েকটি উপচার বা সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। যেমন - অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম, যবের শিষ এবং পলাশ ফুল। এছাড়াও, এই পূজার জন্য বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুলও প্রয়োজন হয়।
স্বরস্বতী পূজার আগে এবং পূজার সময় শিক্ষার্থীদের কিছু নিয়ম মানতে হয়, যদিও এই নিয়মগুলো লোকাচার বা লোকেদের দ্বারা প্রচলিত। পূজোর আগে শিক্ষার্থীদের কুল বা বরই খাওয়া নিষেধ এবং পূজোর দিন পড়া-লেখা নিষেধ।
স্বরস্বতী পূজার দিন পাকিস্তানের লাহোরে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা শতাব্দীর প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে।
লোচন সিং বক্সির মতে, বসন্ত পঞ্চমী হল একটি হিন্দু উৎসব যা ১২শ শতাব্দীতে কিছু ভারতীয় মুসলিম সুফিদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।
স্বরস্বতী পূজো ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুবই আনন্দের একটি দিন। এই দিন অনেক শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। এই দিন সবাই বন্ধুর মতো কথা বলতে এবং সময় কাটাতে পারি।
স্বরস্বতী পূজা ২০২৩ এরজন্য সকল ছাত্রছাত্রীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আসাকরছি, সবাই ভালো থেকো এবং সামনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা তার জন্য অসংখ্য শুভ কামনা রইলো। আমার ওয়েবসাইট আসতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।